ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ঘনশ্যামবাজারে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দফায় দফায়  সংঘর্ষ দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সিকদার পাড়ার এরশাদ আর কাজির পাড়ার সাইফুল (২৬)পিতাঃ মৃত খলিলুর রহমান এর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাঙ্গারী নুর হোসেন ও তার ভাই জয়নালের নেতৃত্বে কসাই পাড়ার দেড়শ জনের অধিক দলবল নিয়ে জাহাঙ্গীর মেম্বারের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়েছে। ১০ডিসেম্বর রাত নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি সুরহার জন্য এলাকার কাউন্সিলর চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব ও জাহাঙ্গীর মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিরা বসেন।এমন সময় পুনরায় ভাঙ্গারী নুর হোসেনের নেতৃত্বে কবির,রাজু,রাব্বি,নাছির,আনিচসহ দা কিরিচ ছুরি নিয়ে জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়ি,নুর মোহাম্মদের বাড়ি, সোহেলের বাড়িসহ ডায়মন্ড এন্টারপ্রাইজ ও হামিদ হোসেনের মুদির দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালানোর পাশাপাশি ইট-পাটকেল ও কাচের বোতল ছুঁড়ে মারেন। এতে বেশ কয়েজনে আহত হয়েছে। ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়রা চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরিকে অবহিত করার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনার সত্যতা বিষয়ে নুর হোসেনের কাছে জানত চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার অভিযুক্ত বিষয়ে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না।সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকের মাধ্যমে মারামারির বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক এস আই অপু বড়ুয়াসহ পুলিশের ফোর্স ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন।তবে এ বিষয়ে কোন প্রকার লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।অভিযোগপত্র হাতে পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: